প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৯:৩২ পিএম
কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় নাগরিক ভোগান্তি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে পৌর নাগরিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে কুষ্টিয়া পৌর নাগরিক অধিকার পরিষদ।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাড. শামিম উল হাসান অপু ও সদস্য সচিব কে এম জাহিদ এর নেতৃত্বে সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল পৌরসভার কঞ্জারভেন্সি ইন্সপেক্টর মোঃ জহুরুল ইসলাম এর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বি এবং নাগরিক অধিকার পরিষদের সদস্যবৃন্দ — শাহারিয়া ইমন রুবেল, এস এম আতাউল গনি উসমান, আবু মনি সাকলায়েন এলিন, সুরভী খাতুন, আনোয়ার হোসেন বুলবুল, মিথুন আলী, সানজান ইসলাম প্রেম, কে এম সিরাজুম মুনির জিদান প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় কঞ্জারভেন্সি ইন্সপেক্টর জহুরুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডে মশক নিধনের দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র ৭ জন কর্মচারী। এত অল্প জনবল দিয়ে পুরো পৌর এলাকা কাভার করা অত্যন্ত কঠিন। পূর্বে ২১টি ওয়ার্ডের জন্য ২১ জন কর্মচারী থাকলেও বর্তমানে তা কমে গেছে।”
পৌর নাগরিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব কে এম জাহিদ বলেন, “পৌর এলাকার প্রায় সব জায়গায় মশার উপদ্রব ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কোথাও নির্দ্বিধায় দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। আমরা দ্রুত কার্যকর মশক নিধন কার্যক্রম চালুর দাবি জানাই।”
পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাড. শামিম উল হাসান অপু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম কার্যত বন্ধ। এতে নাগরিকদের ভোগান্তি বেড়েছে এবং মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। পৌরসভায় জনবলের অভাব থাকলে আমরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সহায়তা করতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, মশা নিধনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে। পৌর কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত স্প্রে কার্যক্রম, লার্ভা ধ্বংস অভিযান ও সচেতনতামূলক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :