ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সংসদে বিল: জমি দখল ও ভুয়া দলিল করলেই সাত বছরের কারাদণ্ড

আমাদের খবর ২৪

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩, ০৫:০২ পিএম

সংসদে বিল: জমি দখল ও ভুয়া দলিল করলেই সাত বছরের কারাদণ্ড

জমি দখলে থাকলেই মালিক নয়, প্রয়োজনীয় দস্তাবেজ থাকতে হবে—এমন বিধান করার জন্য ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল-২০২৩ উত্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে।

অন্যের জমি দখল করে রাখা, ভুয়া বা মিথ্যা দলিল তৈরি এবং নিজ মালিকানার বাইরে অন্য কারো জমির অংশ বিশেষ উল্লেখ করে দলিল হস্তান্তর করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের জেল ও অর্থদণ্ডের নিয়ম করে নতুন আইন করা হবে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে।

বিলে বলা হয়েছে, ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্য কারো জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপনের মাধ্যমে কোনো জমির সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কারো কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোনো দলিলে স্বাক্ষর করলে সেই ব্যক্তির সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

এছাড়া কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পরে আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে যদি দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন কর হয় তাহলে এর সাজাও সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হবে। আবার সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করলেও একই সাজা। প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে দলিলে স্বাক্ষর বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও এই একই সাজা পেতে হবে।

এছাড়াও বিলে বলা হয়েছে, সবশেষ খতিয়ান মালিক বা এর উত্তরাধিকারসূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশ্যে আইনিভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকার প্রাপ্ত না হলে ওই জমি কোনো ব্যক্তি দখল করতে পারবে না। অবৈধভাবে জমি দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

আবার কোনো ব্যক্তির নামে স্টেট একুইজিশন অ্যান্ড টিন্যান্সি অ্যাক্টের অধীনে প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সবশেষ খতিয়ান না থাকলেও এবং খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণক দেখাতে ব্যর্থ হলে ওই ব্যক্তি জমি বিক্রি, দান বা হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন না।

এছাড়াও বিলে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি আবাদযোগ্য জমির উপরি-স্তর কাটলে এর সাজা সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হবে।

আবার কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনে বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘঠনে সহায়তা বা প্ররোচনা দেয় তাহলে মূল অপরাধীর সমান দণ্ডে দণ্ডিত হবেন ওই ব্যক্তিও।

Link copied!