ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মির্জা ফখরুল একজন প্যাথোলজিক্যাল লায়ার: হানিফ

আমাদের খবর ২৪

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৩, ১১:৫৩ এএম

মির্জা ফখরুল একজন প্যাথোলজিক্যাল লায়ার: হানিফ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা নাকি এর সাথে জড়িত নয়। তার এই বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে একজন “প্যাথোলজিক্যাল লায়ার” হিসেবে আখ্যায়িত করে হানিফ বলেন- বিএনপির রাজনীতিটাই মিথ্যাচারে ভর করে আছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রেলওয়ে শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ এসব কথা বলেন। মাহবুবউল আলম হানিফের ব্যক্তিগত সচিব মোহা তারিক-উল-ইসলাম টুটুল সাক্ষরিত এক বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাস-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের অভয়াশ্রম বিএনপি-জামায়াতের নির্দেশে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা সংগঠিত হয়।

হানিফ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সাথে একই সূত্রে গাঁথা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। এটা বর্বোরচিত গ্রেনেড হামলা, এটা পৃথিবীর ইতিহাসে আরেকটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। বাঙালি জাতির জন্য এটি একটি কলঙ্কময় দিন। এই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে একটি রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য। সে সময় বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল, প্রতিবাদী সমাবেশ ছিল না। এরপরেও সেখানে হামলা করা হলো। আর এর লক্ষ্য ছিল একটাই শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সকল সিনিয়র নেতাদের হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেয়া।

তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত নেতাকর্মীদের হাসপাতালের নিয়ে যাওয়ার বিষয়েও নানা টালবাহানা করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লিনিকে আহতদের চিকিৎসা করতে হয়েছে। বেগম আইভি রহমানকে সিএমএইচ-এ ভর্তি নিবে না, অনেক টালবাহানা করা হয়েছে। সেই সিএমএইচ এ আমাদের তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা দেখতে যাবেন, কিন্তু তাঁকে গেইটে আটকে দেওয়া হলো। গাড়ি ঢুকতে দেবে না। এরপর নেত্রী পাঁচ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সিএমএইচ এ গিয়েছিলেন। কতটা পৈশাচিক হলে এই রকম কর্মকাণ্ড করতে পারে।

বেগম খালেদা জিয়া আহতরা যখন মুমূর্ষু অবস্থায় তখন নাটক করার জন্য দেখতে গেলেন। তখন আইভি রহমানের পুত্র, কন্যাকে পাশের রুমে আটকে রাখা হলো তালা দিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা! কী নিষ্ঠুর আচরণ ছিল। শুধু তাই নয়, সংসদে বসে খালেদা জিয়া বললেন, শেখ হাসিনাকে কে মারতে যাবে? উনি নিজে ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছে। কী নিষ্ঠুর রসিকতা ছিল এটা!

বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, ভুলে গেছেন আজকে। আপনারা যদি ঘটনা নাই ঘটাবেন, কেন মিথ্যাচার করলেন? কেন মামলার আলামত নষ্ট করলেন? কেন আপনারা তড়িঘড়ি করে জঙ্গিদের ভুয়া পাসপোর্ট দিয়ে ওই রাত্রে বিদেশে পাঠিয়ে দিলেন। আমার প্রশ্ন-জঙ্গিদের সাথে সম্পৃক্ত না থাকলে কেন তাদের পাঠাতে হলো? যে ক্যাপ্টেন আলামত রাখতে বলেছিল তাকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সবই তো আজকে ইতিহাসে চলে এসেছে।

কিন্তু এখনো আপনারা নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। কিন্তু মিথ্যাচার করে পার পাওয়া যাবে কি? এটা ভাবার কোন কারণ নেই৷ আজকে প্রমাণিত হয়েছে ওই ঘটনার সাথে আপনাদের দলই নয়, বরং সরকারও ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই জঘন্য গ্রেনেড হামলার দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার না করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খুনিদের দেশে বিদেশে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রদান করেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মহান জাতীয় সংসদে নিয়ে এসে ও কুখ্যাত রাজাকারদের নাগরিকত্ব দিয়ে দেশকে একটি জঙ্গি ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।

রেলওয়ে শ্রমিক লীগের এ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

Link copied!