ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

চলতি বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন: বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আফগানদের ছেলেখেলা

আমাদের খবর ২৪

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম

চলতি বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন: বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আফগানদের ছেলেখেলা

চলতি বিশ্বকাপে এর আগে ১২টি ম্যাচ শেষ হলেও ঘটেনি কোনো অঘটন। রোববার (১৫ অক্টোবর) সেই কাজটিই করেছে আফগানিস্তান। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে জয় তুলে নিয়েছে মুজিব-নবিরা। আফগানিস্তানের দেয়া ২৮৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২১৫ রানেই গুটিয়ে যায় বাটলারের দল। ৬৯ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফগানিস্তান।

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। দলটির ওপেনার বেয়ারস্টোকে ফেরান ফজলহক ফারুকী। এই পেসারের বলে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন ইংলিশ ওপেনার। এরপর মালানের সঙ্গে রুটের ৩০ রানের জুটি। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সেই জুটি ভাঙেন মুজিব-উর-রহমান। ১১ রানে ফেরেন রুট। তৃতীয় উইকেটে মালানের সঙ্গে ইনিংস গড়ার কাজে মনোযোগ দেন হ্যারি ব্রুক।

সেই জুটি ভয়ংকর হওয়ার আগেই ভাঙেন মোহাম্মদ নবী। মালানকে ফেরান তিনি। ব্যক্তিগত ৯ ও দলীয় ৯১ রানে নাভিন-উল-হকের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাটলার। এই আসা-যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন ব্রুক। ইংলিশদের আশার ফেরারিকে ইকরামের ক্যাচ বানান মুজিব। ব্রুক ৬৬ রানে আউটের পর আর কেউই জয়ের সম্ভাবনা দেখাতে পারেনি ইংল্যান্ডকে। আফগানিস্তানের পক্ষে রশিদ ও মুজিব তিনটি করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে, রোববার (১৫ অক্টোবর) দিল্লিতে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপে আফগানদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২৮৮। গত বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই রান করেছিল তারা। আজ ৪ রান দূরে থেকে থেমেছে আফগানরা।

দুই ওপেনারের ব্যাটে ঝোড়ো শুরু পায় আফগানরা। ইনিংসের শুরুতে ইংলিশ পেসারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেন দুই ওপেনিং ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহীম জাদরান। ৩৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ। ওপেনিং জুটিতে শতরান তোলার পর প্রথম উইকেটের দেখা পায় ইংল্যান্ড।

৪৮ বলে ২৮ রান করে ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদের শিকার হন ইব্রাহীম। দলীয় ১১৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো আফগানিস্তান পরবর্তী ৮ রানে আরও দুই উইকেট হারায়। রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫৭ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮০ রান করেন গুরবাজ।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর মিছিলে যোগ দেন মোহাম্মদ নবিও। এরপরই দলের পক্ষে লড়াই শুরু করেন ইকরাম ও মুজিব। একপ্রান্ত আগলে দলকে ভালো সংগ্রহের পথে নিয়ে যান ইকরাম। শেষ পর্যন্ত ২৮৪ রানের সংগ্রহ পায় আফগানরা।

Link copied!