ফাইল ছবি: টিক চিহ্ন দেওয়া ব্যাক্তি হারুন অর রশিদ
কুষ্টিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বরখাস্তকৃত পরিচালক ও শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে এবার দল বদলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ৫ আগষ্টের পর আওয়ামী লীগের এই নেতা বিএনপি’র রাজনীতিতে তরী ভেড়ানোর চেষ্টায় রয়েছেন। রাতারাতি আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা থেকে বিএনপির ত্যাগী নেতা বনে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
ইতিমধ্যে জেলা বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতাকে নিজের মামাতো ভাই হিসেবে পরিচয় দেওয়া শুরু করেছেন হারুন অর রশিদ। ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিজেকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী রবিউল ইসলামের শ্যালক হিসেবে পরিচয় দিতেন হারুন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে কুষ্টিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক নির্বাচিত হন হারুন অর রশিদ। এরপর রবিউল হাজীর আত্মীয় পরিচয়ে বাগিয়ে নেন শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড় বাজারের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, একসময় হাজী রবিউল ইসলামকে দুলাভাই বলে ডাকতেন হারুন অর রশিদ। তখন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি লিঃ নিজের বাপ দাদার সম্পত্তি মনে করতেন তিনি। এখন শুনছি, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ নাকি তার মামাতো ভাই। গতবছর জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আন্দোলন দমাতে সরব ছিলেন তিনি।
তবে এই হারুন অর রশিদ ম্যাসেঞ্জারে প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেছেন, তিনি ১৩ মার্চ ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ ও চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাহলে ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত যৌথ সভায় উপস্থিত থাকার ছবি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফকে ফুলের নৌকা উপহার দেওয়া ছবি কিভাবে আসল? এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এছাড়া এনআইডি জালিয়াতির মূল হোতা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির লিঃ এর সাবেক সভাপতি হাজী রবিউল ইসলামের সাথে একাধিক ছবি প্রসঙ্গেও কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তাছাড়া তার কাছে ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর চেয়েও পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক হারুন অর রশিদ ও শহীদ মুসা মঞ্জু এজিএম মিটিং এর লটারি হলে এক টিকিটে ৫টি পুরস্কার নিয়ে নেন। এই বিষয়টি জানাজানি হলে হারুন অর রশিদ ও শহীদ মুসা মঞ্জুকে বহিষ্কার করা হয়। এর পূর্বে এই হারুন অর রশিদ হাজী রবিউল ইসলামকে প্রতিনিয়ত মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে দিতেন। এভাবেই তিনি হাজী রবিউল ইসলামের কাছের মানুষ বনে যান। তিনি বড় বাজারের দুই একজন ব্যবসায়ীকে প্রশাসন দিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করিয়ে অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে থাকতেন।
এদিকে এই হারুন অর রশিদ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য এসেছে প্রতিবেদকের হাতে। যে তথ্যগুলো ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরা হবে। জানতে চোখ রাখুন দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকায়।
আপনার মতামত লিখুন :